বাংলানির্মিতিভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণঃ অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে

মুলভাব : অন্যায়কারী এবং অন্যায়কে প্রশ্রয়দানকারী উভয়েই সমান অপরাধী ও ঘৃণার পাত্র।

সম্প্রসারিত ভাব : ন্যায়বোধ মানব চরিত্রের একটি পবিত্র বৈশিষ্ট্য। মানুষের মধ্যে যে বিবেক রয়েছে তাই মানুষকে অন্যায় থেকে রক্ষা করে এবং ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে। জগতে ন্যায়-অন্যায় দু’টি প্রবৃত্তিই বিদ্যমান। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে তা দিন দিন বেড়ে গিয়ে সামাজিক শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় পবিত্রতাকে বিনষ্ট করে। তাই অন্যায়কে কখনোই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। ক্ষমাশীলতা কেটি মহৎগুণ। কিন্তু অতিরিক্ত ক্ষমাশীলতা সমাজে অন্যায়কে নির্মূল না করে বরং তাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। অন্যায়কারী যদি অনবরত ক্ষমা পেতে থাকে তবে তার অপরাধ প্রবণতা দিন দিন আরো দুর্বার ও প্রবল হয়ে ওঠবে। তাই অন্যায়কারীকে অবাধে ক্ষমা করা উচিত নয়। কথাটিকে বিপরীতভাবে ব্যাখ্যা করা যায় : অন্যায়কারীকে ক্ষমা করার মধ্যে নিঃসন্দেহে মহত্ত্ব বিদ্যমান কিন্তু অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে চলাই আমাদের সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মানসিকতা। অনেকেই অপরাধীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চায় না, নিজেকে নির্ঝঞ্ঝাট রাখতে চায়। এ আত্মপলায়নী মনোভাব সমাজে দিন দিন অন্যায়কে প্রশ্রয় দান করছে। অন্যায় সহ্যকারী অরাধীর সঙ্গে কোনো বিরোধে না যেয়ে আপাতত নির্ঝঞ্জাট থাকলেও একদিন না একদিন তা বুমেরাং হয়ে অন্যায় প্রশ্রয়দানকারীকে আহত করবেই । তাই কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয় ।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্চিত করার ইতিহাস

মন্তব্য : অন্যায়কারী বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে যেমন সামাজিক শান্তি ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে তেমনি অন্যায়র ক্ষমাকারীও পরোক্ষভাবে সমাজের ক্ষতি করে থাকে । তাই বিধাতার বিচারে অন্যায়কারী ও অন্যায়ের ক্ষমাকারীকেও তৃণের মতো ভস্মীভূত হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

অনুচ্ছেদঃ বায়ু দূষণ

Swopnil

রচনাঃ আর্সেনিক দূষণ

Swopnil

রচনাঃ বৃক্ষরোপণ অভিযান

Swopnil

Leave a Comment