, ,

ভাবসম্প্রসারণঃ বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্চিত করার ইতিহাস

Posted by

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্চিত করার ইতিহাস। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্চিত করার ইতিহাস

মূলভাব : বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবজনক অর্জন লক্ষ প্রাণ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ।

সম্প্রসারিত ভাব : বাঙালি জাতি কারো অধীনতা কোনোদিন মেনে নেয়নি। শোষণ-বঞ্চনা, অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে বাঙালির অবস্থান চিরকালই ছিল প্রতিবাদে সংগ্রামে বজ্রকঠিন। তাই বাংলার বুকে বারবার বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছে। ১৭৫৭ সালে পলাশি প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হলে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের যাঁতাকলে প্রায় দু’শ  বছর নিষ্পেষিত হয়েছে এ জাতি । সিপাহি বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, কৃষক-বিদ্রোহ, তিতুমীরের সংগ্রাম বাংলার ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে আছে। ১৯৪৭ সালে এ উপমহাদেশের মানুষ ব্রিটিশ শাসনের নির্যাতন থেকে মুক্তি পেলেও বাঙালি জাতির মুক্তি মেলেনি। দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব-বঙ্গের মানুষ পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর নিষ্পেষণ ও শোষণের শিকার হয় নতুন করে। প্রথম আঘাত আসে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার ওপর। বুকের রক্ত দিয়ে এ চক্রান্তকে প্রতিহত করা হয়। পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একুশের রক্তঝরা আন্দোলনের মাধ্যমে উন্মেষ ঘটে বাঙালির ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী চেতনার। এ চেতনার ধারাই বিকশিত হয়েছে ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ৬দফা আন্দোলন, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে। স্বাধিকার চেতনা রূপ পায় জাতীয় স্বাধীনতার আন্দোলনে। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। রক্তাক্ত পঁচিশ মার্চের পথ বেয়ে ছাব্বিশে মার্চ বাঙালির স্বাধিকার স্বপ্ন রূপ পায় স্বাধীনতার। হানাদার বাহিনীর চূড়ান্ত আঘাত রুখতে বাংলার মানুষ ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিসংগ্রামে ৷ লক্ষ লক্ষ মানুষের বুকের রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার শ্যামল মাটি। অবশেষে অর্জিত হয় লাল-সবুজের পতাকা খ্যাতি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।

আরও পড়ুনঃ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *