আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?
মূলভাব : নিজেকে উত্তমরূপে প্রকাশ করার চেতনাটি লালন করতে হবে সবসময়। এমনকি মন্দের বিপরীতেও। নিজের সদাচার প্রদর্শনে কুণ্ঠিত হলে নিজের অধম রূপটিই উপস্থাপিত হয়।
সম্প্রসারিত ভাব : জীবন-সংসারে ভালো আর মন্দের উপস্থিতি সমান্তরাল। আসলে একটি ছাড়া অন্যটির অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ করা যায় না। ভালো আছে বলেই মন্দের ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা রাখা যায়, আবার মন্দের উপস্থিতিতে ভালোর সুন্দর স্বরূপটি সবার সামনে আকর্ষণীয়রূপে ফোটে উঠে। তাই জীবন চলার পথে উভয়ের উপস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত এমন সব মানুষদের সাথে চলি যারা কাজে ও আচরণে অসুন্দর। তাদের বিবেক মৃত, তাদের জীবনে নৈতিকতা বলতে কিছুই নেই। এরা এককথায় অধম, এরা আমাদের নানাভাবে ক্ষতি করে, করে বিড়ম্বিত ও বিপন্ন। একথা সত্য, আজ সমাজে এ ধরনের মন্দ লোকদেরই দৌরাত্ম্য চলছে। তারা প্রভাব প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতায় অপ্রতিরোধ্য। অধমই আজ উত্তমের স্থান দখল করে নিয়েছে। অসুন্দরের কাছে সুন্দর কোণঠাসা হলেও অসুন্দরকে বরণ করা যাবে না। মন্দ লোকেরা তাদের স্বভাবসুলভ আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের আচরণের বিপরীতে তাই বলে আমাদের শুভন আচরণ পরিত্যাগ করা সঠিক নয়। মন্দের বিপরীতে মন্দ আচরণ করতে গেলে ভালো-মন্দের পার্থক্য আর থাকে না। এর পরিণতিও ভালো হয় না। তাহলে মন্দ লোক সদাচারের সংস্পর্শে এসে সংশোধিত হবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। কুকুর পায়ে কামড় দিলেও কোনো মানুষের পক্ষে কুকুরের পায়ে কামড় দেওয়া যেমন অসম্ভব, তেমনি মন্দ লোকের সাথে মন্দ আচরণ করাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। খারাপ লোকের অনুসরণে নিজের মনুষ্যত্ব বিসর্জন দেওয়া সুবিবেচনার লক্ষণ নয়। মন্দ লোকের অনৈতিক আচরণের বিপরীতে আমাদের নিজের সদাচারণই প্রদর্শন করতে হবে। এতে যত মন্দ লোক নিজের ভুল বোঝতে পারবে এবং সংশোধিত হবার সুযোগ পাবে। তাই অধমের বিপরীতে আমাদের উত্তম ব্যক্তিসত্তারই প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য : প্রত্যেকে নিজ নিজ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ীই আচরণ করে। মন্দের বিপরীতে ভালো আচরণ দিয়েই আমাদের উত্তম হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
- ভাবসম্প্রসারণ: আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে
- ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম ও পদ্ধতি
- সারমর্মঃ সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
- সারমর্মঃ আমার একার সুখ সুখ নহে ভাই, সকলের সুখ সখা
- সারমর্মঃ গাহি তাহাদের গান, ধরণীর বুকে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছে। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।