ভাবসম্প্রসারণনির্মিতিবাংলা

ভাবসম্প্রসারণঃ তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবেই মানুষ

তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবেই মানুষ

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবেই মানুষ। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবেই মানুষ

মূলভাব : মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, কিন্তু এ শ্রেষ্ঠত তাকে অর্জন করতে হয় সাধনার মাধ্যমে। মানবীয় গুণাবলি ছাড়া মানুষের জীবন সার্থকতা লাভ করে না ।

সম্প্রসারিত ভাব : এ বিশ্বচরাচরে অসংখ্য সৃষ্টি রয়েছে। কারো প্রাণ আছে, কারো প্রাণ নেই। কোন সৃষ্টি চলৎ শক্তিহীন, কোনটি চলিষ্ণু। অসংখ্য সৃষ্টির মাঝে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ। কারণ মহান স্রষ্টা তার প্রতিনিধিরূপে মানুষকে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এ শ্রেষ্ঠত্বের সূচকরূপে মানুষের রয়েছে বিবেক-বুদ্ধি, প্রজ্ঞা ও বিবেচনাবোধ। সর্বোপরি মানুষের রয়েছে মনুষ্যত্ব তথা সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের চেতনা। মূলত এ মনুষ্যত্বই মানুষকে যথার্থ মানুষরূপে গড়ে তোলে। আর এ যথার্থ মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারে। স্রষ্টার প্রতিনিধিরূপে নিজেদের গড়ে তুলতে হলে মানুষকে সাধনা এবং অধ্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করতে হয়। কোনো মানুষ যদি সুশিক্ষা অর্জন না করে, তার বিবেক জাগ্রত না হয় এবং মানবীয় গুণাবলির অর্জনে সে যদি পৃথিবীর বুকে কল্যাণশক্তি না হয়ে ওঠে, তাহলে সে পড়ে থাকে ইতর প্রাণীর স্তরেই। অর্থাৎ মানুষ সাধনা ও চেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে পারে । বস্তুত জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতা সবকিছুর নিয়ন্ত্রক মানুষ নিজে। কিন্তু আমাদের চারপাশে যে গাছপালা, তরুলতা কিংবা প্রাণিজগৎ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই স্ব-চেষ্টায় আত্মবিকাশের প্রক্রিয়াটি প্রযোজ্য নয়। প্রাকৃতিক ও জৈবিক নিয়মে তাদের জীবন বাঁধা। তাদের বিকাশ কেবল দৈহিক, অথচ মানুষের বিকাশ দৈহিক ও আত্মিক উভয় প্রকারের। জীব জগতের আর কোন প্রাণীর পার্থিব দায়দায়িত্ব নেই, নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারাটাই তাদের শেষ কথা। অথচ মানুষকে বহুবিধ দায়িত্ব পালন করতে হয়, নিজের সুন্দর গুণগুলোর পরিচর্যায় পার্থিব কল্যাণ নিশ্চিত করতে হয়। কাজেই মানুষের জীবনে চেষ্টা আর সাধনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ।

See also  ভাবসম্প্রসারণ: আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে

মন্তব্য : মানুষকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের পরিধিতে নিজের অবস্থান মূল্যায়ন করতে হবে। মনুষ্যত্বর বিকাশে নিরন্তর সাধনা করাই সকলের জীবনব্রত হওয়া উচিত ।

আরও পড়ুনঃ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

পত্রঃ বাংলাদেশের বিগত বন্যার কথা জানিয়ে বন্ধুর কাছে পত্র লেখ

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ বিদ্যা অমূল্য ধন

Swopnil

সারমর্মঃ বিপুলা পৃথিবী, প্রসারিত পথ, যাত্রীরা সেই পথে

Swopnil

Leave a Comment