আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যকে আমরা পরের তরে । এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যকে আমরা পরের তরে
মূলভাব: মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। মানুষের মাঝে এ চেতনার জাগরণ ঘটলে সমাজজীবনে সুখময় পরিবেশ বিরাজ করবে।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ সামাজিক জীব। সে একা বাস করতে পারে না। সৃষ্টির সেই আদিলগ্নে চরম প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই মানুষ জোটবদ্ধ হয়ে সমাজ গড়ে তুলেছিল। সামাজিক জীবনে প্রবেশ করার পর মানুষ পারস্পরিক নির্ভরশীলতার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে। মানুষ বোঝতে পারে, সমাজজীবনে কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, নানা প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় সহযোগিতার। সে জন্যই মানুষের মনে পরের প্রতি দায়িত্ববোধ ও দরদ থাকা জরুরি। মানুষ যদি একে অপরের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার মনোভাব পোষণ করে তাহলে সবার জীবনই সুখময় হয়ে ওঠে। আর সমাজের মানুষ যদি কেবল নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে সবার জীবন থেকেই সুখশান্তি হারিয়ে যায়। সমাজে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রেষারেষি আর স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দ্বের বিস্তার ঘটে। এতে সামাজিক ক্ষেত্রে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে বাধ্য । তাই মানবজীবনের সুখশান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থেই সকলের মাঝে সহযোগিতার চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে। এ জন্য সবাইকে মনুষ্যত্বকে লালন করতে হবে। মানবতার দাবি ও কর্তব্য সম্পর্কে সবাইকে হতে হবে সচেতন। সবাইকে বোঝতে হবে, সাহায্য-সহযোগিতার মধ্য দিয়েই জীবনকে সুখময় করা যায়। স্বার্থের দ্বন্দ্ব জীবনকে কেবলই ব্যর্থতার গ্লানিই উপহার দেয়। আমরা যদি একে অন্যকে সহযোগিতা করি তাহলে দেখব, কেউ একা নই। সবাই মিলে গড়ে তুলেছি এক সুখের আলয়। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে আমরা জীবনকে করে তুলব অর্থবহ।
মন্তব্য: আমরা যদি নিজেদের মঙ্গল চাই, তাহলে অন্যের কল্যাণে আন্তরিক হতে হবে। অন্যের প্রতি সদয় হলে অন্যরাও আমাদের মঙ্গলার্থে এগিয়ে আসবে। তাই স্বার্থপরতাকে অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
- ভাবসম্প্রসারণ: আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে
- ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম ও পদ্ধতি
- সারমর্মঃ সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
- সারমর্মঃ আমার একার সুখ সুখ নহে ভাই, সকলের সুখ সখা
- সারমর্মঃ গাহি তাহাদের গান, ধরণীর বুকে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।