, ,

ভাবসম্প্রসারণঃ আলো বলে, অন্ধকার তুই বড় কালো, অন্ধকার বলে, তাই তুমি আলো

Posted by

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – আলো বলে, অন্ধকার তুই বড় কালো, অন্ধকার বলে, তাই তুমি আলো। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

আলো বলে, অন্ধকার তুই বড় কালো, অন্ধকার বলে, তাই তুমি আলো

মূলভাব : আলো আর অন্ধকার নিয়েই জীবনে বাস্তবতা। তেমনি ভালো আর মন্দও জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোন একটিকে বাদ দিয়ে চলা অসম্ভব । একটি ছাড়া আরেকটির অস্তিত্বও কল্পনা করা যায় না।

সম্প্রসারিত ভাব : জীবনের একপিঠে যদি আলো থাকে তাহলে তার অন্য পিঠে থাকে অন্ধকান। অন্ধকার আছে বলেই আলোর দৃশ্যমানতা ফোঠে ওঠে। আলোর মাঝে বস্তুজগতের রূপটি দেখা যায় বলেই সবাই আলো চায়। আলোর বিপরীত অভিব্যক্তি হচ্ছে অন্ধকার ! আলোর অবর্তমানে অন্ধকার সবকিছুকে গ্রাস করে। আসলে আলোর অনুপস্থিতিই অন্ধকার। বস্তুত অন্ধকার নেতিবাচক অভিব্যক্তিকে নির্দেশ করে। আলোর স্পর্শে প্রাণের সাড়া পড়ে যায়, কিন্তু অন্ধকার প্রাণে ভয় জাগায়। দিন আর রাতের আলো-আঁধারের খেলা আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পূর্বদিগন্তে অৰুণাভা ফোটে ওঠামাত্র জীবনজাগার সাড়া পড়ে যায়। আর রাত নেমে আসার সাথে সাথে সবকিছু দৃশ্যপটের আড়ালে চলে যায়। জীবনের গতি থেমে যায় ঘুমের মোড়কে। এ পার্থক্যের ক আলো যাদি অন্ধকারকে অসুন্দর বলে অবজ্ঞা করে, আহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ আলোর ঋণ অন্ধকারের কাছে। অন্ধকার মা থাকলে আলো কারো চোখেই ধরা পড়ত না। আলে যেমন বাস্তবতা অন্ধকারও তেমনি বাস্তবতা। এ দুয়ের সমান্তরাল উপস্থিতেই প্রকৃতি ও জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য বা রূপবৈচিত্রা প্রকাশ পায়। আমরা যদি জীবনে কেবল আলোই কামনা করি, তাহলে তা হবে বোকামির শামিল। কেননা জীবনে অন্ধকারেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তেমনি কেবল মঙ্গল, সুন্দর ও ভালো নিয়ে জীবনের করা যাবে না। অকল্যাণ ও অসুন্দর কাম্য না হলেও এদের উপস্থিতি অস্বীকার করা যাবে না। ভালো-মন্দের আপেক্ষিক সম্পর্কে আমাদের থাকতে হবে সচেতন।

মন্তব্য: জীবন-সংসারের বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। বিপরীতধর্মী বিষয়গুলোর সহাবস্থান আমাদের মেনে নিয়েই জীবনপথে এগিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *