আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি প্রতিবেদন দেখব – বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদন রচনা কর। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো প্রতিবেদন নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদন রচনা কর
তারিখ : ১৫/০৪/২০১৮
সূত্র : পসউবি-২৫/০১২
বরাবর
প্ৰধান শিক্ষক
রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়
দেবিদ্বার, কুমিল্লা
বিষয় : রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদ্যাপন সম্পর্কিত প্রতিবেদন ।
মহোদয়,
আপনার প্রদত্ত ১৪/০৪/২০১৮ তারিখের পত্রের আদেশক্রমে রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার একটি প্রতিবেদন আপনার সদয় অবগতির জন্য পেশ করা হলো :
বাংলা নববর্ষ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। সুপ্রাচীনকাল থেকে বঙ্গদেশে বাঙালি কৃষিজীবী সম্প্রদায় নানা দেশীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ পালন করে আসছে। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। নববর্ষের প্রথম দিনে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে সারা দেশ। পুরাতন বছরের সমস্ত দুঃখ-বিষাদ ধুয়ে-মুছে নববর্ষ সবার জন্য বয়ে আনে নতুন সম্ভাবনার আহ্বান। চিরায়ত ঐতিহ্যে গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর মেতে ওঠে আনন্দে। নববর্ষের প্রথম সূর্যোদয়ের আনন্দে মেতে ওঠেছিল রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বর্ষবরণ উপলক্ষে গ্রহণ করা হয়েছিল নানা কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানমালা
মঙ্গল শোভাযাত্রা : সকাল ৬.০০ টা ।
পান্তা-ইলিশ : সকাল ৭.০০ টা।
আলোচনা সভা : সকাল ৮.০০ টা ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান : সকাল ৯.০০ টা।
বৈশাখী মেলায় অংশগ্রহণ : সকাল ১১.০০ টা।
সমাপনী : বেলা ১.০০ টা।
বিবরণ
পহেলা বৈশাখের শুভক্ষণে নতুন বছরকে বরণের আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এক বর্ণিল আনন্দ মেলায় পরিণত হয়েছিল। এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ’ -এ বাণীমূর্ছনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। বর্ষবরণ উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব শাহনাজ চৌধুরী। তিনি বাঙালির আবহমান জীবনের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দময় সংযোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বর্ষবরণকে উপলক্ষ করে বাঙালি জীবনে এক অসাম্প্রদায়িক আনন্দময় যোগাযোগ চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। আমরা যেন পারস্পরিক প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গড়ে তুলতে পারি আনন্দময় সুন্দর আগামী। ঘটে। নববর্ষ আমাদের সামনে সম্ভাবনার নতুন আহ্বান বয়ে আনে। হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। পিঠা-পুলি, পান্তা-ইলিশের আয়োজন ছিল বাঙালির চিরায়ত খাদ্যাভ্যাসের পরিচয়বাহী। আলোচনা সভার ‘বঙ্গাব্দের উৎস অনুসন্ধান’, ‘বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলা নববর্ষ’, ‘হালখাতা’ প্রভৃতি বিষয়ের ওপর ছাত্র-শিক্ষক ও গুণিজন বক্তব্য রাখেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চক্র ‘উত্তরণ’ কর্তৃক পরিবেশিত হয় লোকসংগীত ও লোকনৃত্য। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে উন্মুক্ত স্থানে বসেছিল বৈশাখী মেলা। মূলত এটি ছিল একটি ‘লোকজমেলা’। হস্তশিল্প ও মৃৎশিল্পজাত নানা ধরনের সামগ্রী ছিল এ মেলার প্রধান আকর্ষণ। ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী সকলের পদচারণায় মেলা-প্রাঙ্গণ ছিল উৎসব মুখর। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়ের বর্ষবরণ উৎসব ছিল বর্ণাঢ্য ও আনন্দঘন। সকলের অংশগ্রহণে বাংলা নববর্ষের বরণ আয়োজন সফল ও সার্থক হয়েছে।
বিনীত প্রতিবেদক
‘চ’
দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান শাখা রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়
দেবিদ্বার, কুমিল্লা।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।