প্রতিবেদনঃ তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  প্রতিবেদন দেখব – তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো প্রতিবেদন নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর

তারিখ : ২৫/০২/২০১৮ খ্রি.

সূত্র : স্মারক নং ক উ বি/২৬৫/2018

বরাবর

প্রধান শিক্ষক

কমলকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়

সিংগাইর, মানিকগঞ্জ ।

বিষয় : বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সম্পর্কিত প্রতিবেদন ।

মহোদয়,

আপনার অফিস আদেশ সম্বলিত চিঠির (স্মারক নং ক উ বি /২৬৫/০১২, ১৮/০২/২০১৮) প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানপূর্বক একটি প্রতিবেদন আপনার সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করছি –

১. কমলকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটি বিদ্যালয়ের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় পূর্ব পাশে অবস্থিত। গ্রন্থাগারটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ।

২. প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রায় তিন যুগ অতিক্রান্ত হলেও গ্রন্থাগারটির আশানুরূপ উন্নয়ন ঘটেনি। গ্রন্থাগারটিতে বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০টি।

৩. প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ক্রমান্বয়ে ছাত্রসংখ্যা যে হারে বেড়েছে সে হারে গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি ৷

৪. গ্রন্থাগারে পাঠ্যবই ও বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের সংখ্যা খুবই কম ।

৫. বিগত পাঁচ বছরে গ্রন্থাগারে নতুন কোনো বই ক্রয় করা হয়নি। গ্রন্থাগারে সৃজনশীল বই অর্থাৎ গল্প, কবিতা, উপন্যাস প্রভৃতির যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

৬. গ্রন্থাগারের অধিকাংশ বই জরা-জীর্ণ এবং বাঁধাই বিহীন

৭. কোনো গ্রন্থাগারিক না থাকায় চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী দ্বারা গ্রন্থাগারটি পরিচালিত হচ্ছে বিধায় গ্রন্থাগার ব্যবহারকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো উন্নত সেবা পাচ্ছে না ।

See also  রচনাঃ বাংলাদেশের খেলাধুলা

৮. গ্রন্থাগারে বইগুলো পদ্ধতিগতভাবে পরিসজ্জিত নয়। বইয়ের তালিকা তৈরিতে কোনো আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি

৯. বিদ্যালয় চলাকালে গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার সুযোগ থাকলেও সুপরিসর লাইব্রেরি কক্ষ ও প্রয়োজনীয় চেয়ার- টেবিলের অভাবে এক সঙ্গে অধিক সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী গ্রন্থাগার ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

১০. গ্রন্থাগারে কেবল একটি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল ।

১১. গ্রন্থাগারে কোনো সাময়িক পত্র রাখা হয় না ।

১২. ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই ইস্যু করার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে না।

১৩. রেজিস্টার খাতায় তালিকাভুক্ত বইয়ের সংখ্যার সঙ্গে বাস্তবে বইয়ের সংখ্যার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

১৪. প্রয়োজনীয় সেলফের অভাবে বেশ কিছু সংখ্যক বই গ্রন্থাগারের এক কোণে মেঝের ওপর স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারটি যাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যথার্থ উপকারে আসতে পারে সেজন্য উক্ত গ্রন্থাগারের সার্বিক উন্নয়নকল্পে নিম্নলিখিত সুপারিশসমূহ পেশ করছি :

১. অতিসত্বর গ্রন্থাগারে একজন প্রশিক্ষিত গ্রন্থাগারিক এবং একজন ক্যাটালগার নিয়োগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. দ্রুত নতুন বই ক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. গ্রন্থাগারে কয়েক ধরনের দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন সাময়িকী রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. নতুন বছর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে গ্রন্থাগারে বসে পড়তে পারে সে জন্য ‘রিডিং কার্ড’ এবং বাড়িতে নিয়ে পড়ার জন্য ‘হোম কার্ড’-এর বাস্তবায়ন করতে হবে ।

৫. গ্রন্থাগার সংলগ্ন ২০৫ নং কক্ষটি গ্রন্থাগারের সঙ্গে একীভূত করে বিদ্যালয় গ্রন্থাগারটি সম্প্রসারণ করতে হবে।

সর্বোপরি গ্রন্থাগারের সঠিক, উন্নয়ন ও তত্ত্বাবধানের জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি গ্রন্থাগার পরিচালনা কমিটি গঠন করতে

হবে ।

বিনীত

সহকারী শিক্ষক

কমলকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়

সিংগাইর, মানিকগঞ্জ।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Leave a Comment