আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ
মূলভাব : সাহিত্যের মধ্যে প্রতিফলিত হয় জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আবেগ ।
সম্প্রসারিত ভাব : সাহিত্য জীবনের দর্পণ। সাহিত্যের সঙ্গে জাতীয় জীবনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। জাতীয় জীবনের নানা গতিধারা ও ভাঙ্গা-গড়ার প্রতিফলন ঘটে সাহিত্যে। তবে জাতীয় চেতনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বাতীত কোনো দেশের সাহিত্যই জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে পারে না। সাহিত্য ব্যক্তি-হৃদয়ের অনুভূতি সঞ্চার হলেও তার পরিপুষ্টি ঘটে সমাজ-মানুষের বিশাল অঙ্গনে। ব্যক্তির জীবনধারা ও সমাজ-পরিপুষ্ট বলেই একে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ব্যক্তির জীবন দৃষ্টি ও সৃষ্ট সাহিত্য যদি যুগচেতনা, ইতিহাস, ঐতিহ্য অনুসন্ধানী হয়- তবে সে সাহিত্য সমাজ তথা জাতির সামগ্রিক চেতনায় একটা বিরাট পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে। সৃষ্টি জগতে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অনস্বীকার্য হলেও মানুষের মধ্যে হয়ে আছে নানা অপূর্ণতা। জীবনের সকল বোধ, বৃত্তি ও আকাঙ্ক্ষাকে সমভাবে সে বিকশিত করতে অক্ষম। মানুষ চায় অপূর্ণকে পূর্ণ করতে, শ্রেয়কে প্রিয় করতে। মানুষের আবেগ-আকাঙ্ক্ষা, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার প্রতিফলন ঘটে সাহিত্যে। তাই কোনো জাতির পরিচয় পেতে হলে সর্বাগ্রে জানতে হবে সেই জাতির সাহিত্যকে। বিশ্বের প্রতিটি জাতির সাহিত্যে সেই জাতির পরিচয় উন্মোচিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের সাহিত্যের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির আবেগ, জীবন ধারা, সংগ্রাম শৌর্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। সাহিত্য জীবনের শুদ্ধতম রূপায়নে জাতির দর্পণস্বরূপ।
মন্তব্য : সাহিত্য জাতীয় জীবনের বৈশিষ্ট্যকে বাস্তব ও বিশ্বস্তভাবে ধারণ করে। তাই সাহিত্য জাতীয় জীবনের দর্পণ-স্বরূপ।
আরও পড়ুনঃ
- ভাবসম্প্রসারণ: আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে
- ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম ও পদ্ধতি
- সারমর্মঃ সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
- সারমর্মঃ আমার একার সুখ সুখ নহে ভাই, সকলের সুখ সখা
- সারমর্মঃ গাহি তাহাদের গান, ধরণীর বুকে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।