বাংলাচিঠিনির্মিতি

পত্রঃ একটি বনভোজনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

একটি বনভোজনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি পত্র দেখব – একটি বনভোজনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ। এই পত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্র। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই পত্রটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো পত্র নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

একটি বনভোজনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

প্ৰিয় সৈকত,

একগুচ্ছ রূপালি শুভেচ্ছা রইল। একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা ও একরাশ আনন্দের বার্তা জানাতে তোমাকে আজ লিখছি। শুনে খুশি হবে যে, গত শুক্রবার আমরা স্কুল থেকে ‘ময়নামতি’ বনভোজনে গিয়েছিলাম। এ দিনটির অভিজ্ঞতা ও আনন্দ আমার স্মৃতি থেকে কোনোদিনই ম্লান হবে না ।

যাত্রাবাড়ি থেকে ময়নামতি অনেক দূরের পথ। প্রকৃতিতে শীত ও কুয়াশার যৌথ অবস্থান। সকল বাধা অতিক্রম করে আমাদের যাত্রা শুরু হলো যথাসম্ভব সকাল সকাল । আমাদের বাস চলছে গন্তব্যের অভিমুখে। সকলের প্রাণে অফুরন্ত আনন্দ। মুক্তির আবেগে এবং অজানার আহ্বানে সকলেই আত্মহারা। সঙ্গে ডেচকি, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মরিচ নানা উপকরণ। দুপুর বারোটায় আমরা ময়নামতি পৌঁছলাম। চারদিকে চোখ ধাঁধানো বিস্ময় আর সৌন্দর্য। যা কিছু দূরের এবং অচেনা তারই মধ্যে রয়েছে আশ্চর্য এক মুগ্ধতা। বলতে ভুলে গেছি— বাসেই আমরা সেরে নিয়েছিলাম সকালের নাস্তা — ডিম, বনরুটি, আপেল। এবারে শুরু হলো বনভোজনের আয়োজন। চুলা খুড়াখুড়ি, লাকড়ি সংগ্রহ, পানির ব্যবস্থা ইত্যাদি। রান্না হলো খিচুড়ি-মাংস। কালো ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছিল। কালো জামায় কালি লাগছিল। কেউ বলছিল আরো একটু লবণ লাগবে, কেউ বলছিল আরো একটু মরিচ। কেউ বলছিল ক্ষুধায় আর বাঁচি না। পটু-অপটু হাতে যে খিচুড়ি রান্না হলো— তা সত্যিই এক জগাখিচুড়ি। তবুও সবার কাছে তা অমৃততুল্য মনে হলো । সবাই পেটপুড়ে খেলাম ।

See also  অনুচ্ছেদঃ প্রিয় জন্মভূমি

খাওয়ার পর্ব শেষ হলে ঘুরে ঘুরে দেখলাম শালবনবিহার, প্রত্নকীর্তি, নীলাচল পাহাড়। ফেরার পূর্বে শুরু হলো আবৃত্তি, কৌতুক আর গান। সেই জলসা ভেঙ্গে মন কিছুতেই ঘরে ফিরতে চাচ্ছিল না। তবুও বেলা শেষে ফিরতে হলো ঘরের উদ্দেশে। বনভোজনের এ সুন্দর স্মৃতিটুকু আমাকে আজীবন আনন্দ দেবে। শুভ কামনায় আজকের মতো শেষ করছি।

ইতি

তোমারই বন্ধু

শিতাক

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

অনুচ্ছেদঃ লালবাগ কেল্লা

Swopnil

অনুচ্ছেদঃ পরিবেশ দূষণ

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

Swopnil

Leave a Comment