অনুচ্ছেদনির্মিতিবাংলা

অনুচ্ছেদঃ লালবাগ কেল্লা

লালবাগ কেল্লা

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব –লালবাগ কেল্লা। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

লালবাগ কেল্লা

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহের মধ্যে লালবাগের কেল্লা (Lalbag Fort) অন্যতম। এটি মুঘল স্থাপত্যকলার অনন্য এক নিদর্শন। রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এটি একটি অসমাপ্ত স্থাপনা। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র ও বাংলার সুবাদার মুহাম্মদ আজম শাহ্ ১৬৭৮ সালে এ কেল্লার নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু মাত্র ১৫ মাস কাজ চলার পর সম্রাটের নির্দেশে রাজধানীতে চলে যান শাহজাদা আজম শাহ্ । নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায় এর। পরবর্তীতে সুবাদার হয়ে আসেন শায়েস্তা খান। নির্মাণ করেন স্মৃতিস্মারক পরী বিবির মাজার। পরবর্তীতে মুর্শিদাবাদে বাংলার রাজধানী স্থানান্তরিত হলে এর নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু তিনি আর নির্মাণকাজ শুরু করেন নি। ১৬৮৪ সালে মারা যান শায়েস্তা খানের কন্যা ইরান দুখত বা পরী বিবি । শায়েস্তা খান এখানেই করার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। লালবাগ কেল্লায় তিনটি স্থাপনা বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। যেমন- মসজিদ, দিওয়ান-ই-আম ও পরী বিবির মাজার। কেল্লার ভেতরের মসজিদটি এখনো ব্যবহৃত হয়। দিওয়ান-ই-আম ছিল সর্বসাধারণের সাথে সুবাদারের বৈঠকখানা। বর্তমানে এখানে একটা জাদুঘর রয়েছে, যা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্যে আকর্ষণীয়। পরী বিবির মাজারের নির্মাণশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন । প্রতিদিন অনেক উৎসুক মানুষ লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনে আসে। আমাদের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐত্যিহ্য সম্পর্কে জানার জন্যে সবার উচিত লালবাগ কেল্লা পরিদর্শন করা। এটি বেড়ানোর জন্যেও সুন্দর জায়গা। এটি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

আবেদন পত্রঃ অর্ধদিবসের ছুটি দেবার জন্য অনুরোধ করে প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত লেখ

Swopnil

অনুচ্ছেদঃ মহান স্বাধীনতা দিবস

Swopnil

আবেদন পত্রঃ ‘মশক নিধন’ অভিযান শুরু করার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন পত্র লেখ

Swopnil