Regular Content

অনুচ্ছেদঃ নারী শিক্ষা

নারী শিক্ষা

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব – নারী শিক্ষা। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

নারী শিক্ষা

শিক্ষা মানুষের অন্তনিহিত গুণাবলিকে বিকশিত করে। পৃথিবীতে শিক্ষা বা জ্ঞানই একমাত্র সম্পদ যা জীবনের জন্য মহামূল্যবান । দেশ ও জাতির উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। সমাজ ও সভ্যতার সুষম বিকাশের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়ের গুরুত্ব সমান। নারীকে পশ্চাদপদ ও অশিক্ষিত রেখে কোনো সমাজ ও জাতির সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন সম্ভব নয় । তাই পুরুষদের পাশাপাশি নারী সমাজেরও শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। ‘এ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ তাই পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সমাজে নারী ও পুরুষ পরস্পর নির্ভরশীল হলেও শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষকে কখনোই সমানভাবে দেখা হয়নি। যুগে যুগে পুরুষের অনুদার দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে শিক্ষার আলোকে আলোকিত হওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে একটি ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, নারীরা শিক্ষিত হলে গৃহের শান্তি বিঘ্নিত হবে, পুরুষের নিজের কাজে অসুবিধার সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া আছে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও নানা কুসংস্কার । কিন্তু বর্তমানে এ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে। নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে নারী সমাজের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা আবশ্যক। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে পশ্চাদপদ রেখে জাতির সার্বিক অগ্রগতি কখনো সম্ভব নয়। সমাজে নারীর গুরুত্ব সম্পর্কে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব। শিশুরাই জাতির আগামিদিনের নাগরিক। জাতির এই ভবিষ্যৎ প্রতিপালিত হয় মায়েদের কোলেই। কিন্তু মায়েরা যদি উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত না হন, তবে সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনগঠনে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হবেন। শিক্ষিত নারীরাই পারেন পারিবারিক প্রশাসনসহ পরিবারের শান্তি, শৃঙ্খলা ও সুখময় পরিবেশ নিশ্চিত করতে। কিন্তু নারীরা যদি শিক্ষা বঞ্চিত হয় তবে তাঁদের পক্ষে পরিবার পরিচালনায় সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা খুবই তাৎপর্যবহ। উন্নত দেশে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা আজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশ সরকার নারী শিক্ষা বিস্তারে নানাবিধ ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারী শিক্ষার যথাযথ প্রসার ও অগ্রতিতে বাংলাদেশ অচিরেই একটি স্বাবলম্বী ও সুখী-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে। একটি জ্ঞানভিত্তিক আধুনিক সমাজ নির্মাণে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

রচনাঃ স্বাধীনতা দিবস

Swopnil

How to Check NID Card Online in Bangladesh [2023]

Swopnil

How to Write a CV in SSC & HSC Exam

Swopnil