আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – সড়ক দুর্ঘটনা। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
সড়ক দুর্ঘটনা
সড়ক দুর্ঘটনা একটি অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বিপত্তি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটা নৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ভোরে পত্রিকার পাতা খোললেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার মর্মান্তিক সংবাদ। বর্তমানে যানবাহনে চলাচল রীতিমত বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে যার মধ্যে ৪০% হাইওয়ে। মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষাধিক। এ ছাড়া রয়েছে অগণিত রিকশা, অটোরিকশা, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি, ভ্যান ইত্যাদি। উন্নত দেশের তুলনায় এগুলে৷ প্রায় ৩০ গুণ বেশি। এ ছাড়া রয়েছে দেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার আধিক্য। আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য নানাবিধ কারণ দায়ী । একটি দেশের অর্থ সামাজিক অবস্থা, শিক্ষা, নৈতিক মূল্যবোধ ও দৈনন্দিন জীবনযাপনও সড়ক দুর্ঘটনার ওপর পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে । অর্থাৎ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে এককভাবে চিহ্নিত করা যাবে না। চালকের অদক্ষতা অসাবধানতা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, রাস্তার স্বল্পতা, অপ্রশস্ততা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশের অভাব, ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করা, প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত মাল ও যাত্রী পরিবহন সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অধিকতর দায়ী। সড়কের ওপর হাটবাজার ও অবৈধ স্থাপনা, রিকশা ও ভ্যানের সংখ্যাধিক্য, ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহার না করা, যত্রতন্ত্র রাস্তা পারাপার, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ ড্রাইভার কর্তৃক গাড়ি চালানো, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের অভাব, কঠোর আইন প্রণয়নের অভাবসহ আরো নানাবিধ কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর হার পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা মুহূর্তে ছিনিয়ে নিচ্ছে মানুষের অমূল্য জীবন। ভেঙ্গে দিচ্ছে অসংখ্য সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যময় সংসার। সড়ক দুর্ঘটনার উল্লিখিত কারণগুলো নিরসন করা গেলে আশা করা যায় সকলের জন্য নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এজন্য সরকার তথা সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা প্রয়োজন ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।