আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য
পিতামাতা আমাদের সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে বড় হিতাকাঙ্ক্ষী। তাঁদের কল্যাণেই আমরা এ পৃথিবীতে এসেছি, তাঁদের পরিচর্যাতেই বেড়ে ওঠি। তাঁরা যদি আমাদের স্নেহ-মমতায় আগলে না রাখতেন, তাহলে আমরা শৈশবের পর্বই পার হতে পারতাম না। পিতার আত্মত্যাগ ও অবদান অস্বীকার না করেও বলা যায়, মায়ের মতো আপন আর কেউ নেই। মায়ের ঋণ অপরিশোধ্য। তিনি দশ মাস গর্ভে ধারণের পর অবর্ণনীয় কষ্ট স্বীকার করে সন্তান জন্মদান করেন। নাজুক-অবোধ শিশুকে মা যে কষ্ট স্বীকার করে বড়ো করেন তার কোনো প্রতিদান হয় না। আমৃত্যু মা সন্তানের কল্যাণ কামনায় নিজের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকেন। বাবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানের অন্ন-বস্ত্র-স্বাস্থ্য ও শিক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করেন। সন্তানের সুখময় ভবিষ্যতের জন্যে বাবা-মা নিজেরা জীবনে, কৃচ্ছ্রতা মেনে চলেন, সম্পদ সঞ্চয় করে যান। সেজন্যে প্রতিটি সন্তানের রয়েছে পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য। সকল ধর্মে পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য পালনে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মে পিতা-মাতার সন্তুষ্টির সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সাপেক্ষ করা হয়েছে। সন্তানের স্বর্গ মায়ের পায়ের নিচে বলে জানিয়েছেন মহানবি (স.)। আমাদের সবাইকে বাবা-মায়ের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। জীবনে কখনো তাঁদের অবাধ্য হবার চিন্তাও করব না। তাঁদের সাথে এমন ভাষায় কথা বলব না, এমন আচরণ করব না, যাতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হন। তাঁরা যখন বয়োবৃদ্ধ হন, তখন তাঁদের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার জন্যে সবাইকে কুণ্ঠাহীনভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাঁদের চিকিৎসা ও সেবাশুশ্রূষা এমনভাবে করতে হবে যেমনটা আমরা শিশু থাকাকালে তার করেছিলেন । পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে উদাসীন সন্তানের মতো অকৃতজ্ঞ ও হতভাগ্য আর কেউ নেই।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।