বাংলাচিঠিনির্মিতি

পত্রঃ সম্প্রতি পঠিত একটি গ্রন্থ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

সম্প্রতি পঠিত একটি গ্রন্থ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি পত্র দেখব – সম্প্রতি পঠিত একটি গ্রন্থ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ। এই পত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্র। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই পত্রটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো পত্র নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

সম্প্রতি পঠিত একটি গ্রন্থ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

১২ আগস্ট, ২০১৮

‘কাশবন’ সাভার, ঢাকা

সুপ্রিয় সৌরভ,

প্রীতি ও ভালোবাসা নিও। গতকাল প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক আবু ইসহাক বিরচিত ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’ উপন্যাসটি পড়ে শেষ করলাম। নায়িকা প্রধান এ উপন্যাসটিতে হতভাগ্য জয়গুণের জীবন সংগ্রাম, হতাশা, বঞ্চনা ও গ্রামজীবনের কুসংস্কারের চিত্র অত্যন্ত বিশ্বস্তভাবে অঙ্কিত হয়েছে। জয়গুণ এ দেশের গ্রামবাংলার এক ভাগ্য বঞ্চিত নারী। সে স্বামী পরিত্যক্তা হয়েও সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল থেকেছে। দুর্ভিক্ষের তাড়নায় বাঁচার সংগ্রামে শহরে পা বাড়িয়েছে কিন্তু শহরে প্রাচুর্য থাকলেও অভাবী মানুষের ঠাই সেখানে হয়নি। জয়গুণ শফির মা সকলে আবার গ্রামে ফিরে এসেছে। আশ্রয় নিয়েছে পূর্ব পশ্চিমে লম্বা সূর্যদীঘল এক পতিত ভিটার ওপর। ভিটাটিতে আছে ভূতের ভয় । এখানে লোক বাঁচে না। সব জেনেশুনেই তবুও জয়গুণ আর শফির মা আশ্রয় নেয় সুর্যদীঘল বাড়িতে ভূত তাড়াবার নামে জবেদ আলি ফকির এসব দরিদ্র মানুষের কাছে থেকে কৌশলে আদায় করে নেয় টাকা-কড়ি। এক সময় লোলুপ দৃষ্টি বিস্তার করে জয়গুণের প্রতি কিন্তু জয়গুণ সুদৃঢ় এক নারী, সহজেই সে পরাস্ত হবার নয়। জয়গুণের প্রাণ কাঁদে ঔরসজাত সন্তান কাসুর জন্য। পূর্ব স্বামী করিম বখশ কাসুকে জয়গুণের কাছে আসতে দেয় না। কিন্তু এক সময় কাসু ঠিকই চিনে নেয় মাকে। নানা ঘটনাবর্তে ক্ষতবিক্ষত হয়ে জয়গুণ আবার পা বাড়ায় অনিশ্চিতের পথে ।

See also  রচনাঃ যৌতুক প্রথা ও নারী নির্যাতন

এ হচ্ছে উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত আখ্যান। গ্রন্থটি যদি ইতোমধ্যে না পড়ে থাক আশা করি পড়লে তোমারও ভালো লাগবে। কাহিনি নির্মাণ, পরিবেশ রচনা, ভাষা এবং চরিত্র সৃষ্টিতে লেখকের দক্ষতা অসাধারণ। পাঠান্তে তোমার মতামত জানাবে। কুশল কামনা করে আজকের মতো শেষ করছি।

ইতি

তোমার বন্ধু

সঞ্চয়

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

ভাবসম্প্রসারণঃ অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী

Swopnil

অনুচ্ছেদঃ পরিবেশ দূষণ

Swopnil

রচনাঃ বাংলাদেশের পাখি

Swopnil

Leave a Comment