আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – শিশুশ্রম। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
শিশুশ্রম
শিশুরাই দেশ ও জাতির আগামী কর্ণধার। শিশুরাই সুন্দর আগামী বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি বহন করে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আজ শিশু অধিকার লঙ্ঘন ও শিশুশ্রম একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। শিশুশ্রম হলো শিশুদের দ্বারা সম্পাদিত যেকোনো ধরনের কাজ, শিশুর পরিপূর্ণ দৈহিক বিকাশে, প্রত্যাশিত ন্যূনতম শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ কিংবা শিশুর প্রয়োজনীয় চিত্তবিনোদনে বাধার সৃষ্টি করে। শিশুশ্রম যেকোনো জাতির জন্য একটি সামাজিক অভিশাপ। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সি সব ছেল-মেয়েই শিশু। বাংলাদেশে জাতীয় শিশুনীতিতে কেবল ১৪ বছরের কম বয়সি ছেলেমেয়েদের শিশু হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ শিশুঅধিকার সনদ অনুযায়ী ১৮ বছর বয়ঃক্রমের আগে যারা ঝুঁকিপূর্ণ কষ্টসাধ্য কাজ করে তারাই শিশুশ্রমিক এবং তাদের শ্রমদানই শিশুশ্রম হিসেবে স্বীকৃত। মূলত যখন কোনো শ্রম বা কর্ম-পরিবেশ শিশুর দৈহিক, মানসিক, নৈতিক ও সামাজিক বিশ্বাশের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায় তখন তা শিশুশ্রম হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোতে শিশুশ্রম একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। এ দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ঐতিহ্যগতভাবেই শিশুরা বিভিন্ন কাজে শ্রমদান করে আসছে। গ্রামবাংলার শিশুরা কৃষিকাজে পিতামাতাকে সাহায্য করছে। এটি একটি ঐতিহ্যগত সাধারণ চিত্র। কিন্তু বর্তমানে কলকারখানায়, ওয়ার্কসপে, দোকানে, হোটেলে, ছাপাখানায়, তাঁত শিল্পে, ট্রাকে, বাসে, টেম্পোতে, বিড়ির ফ্যাক্টারিতে, ইটভাটায় এবং বাসাবাড়ি প্রভৃতিতে শিশুরা কর্ম-নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশে শিশুশ্রমের মূল কারণ দারিদ্র্য, জনসংখ্যার উচ্চহার, নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো— যে-বয়সে শিশুকে বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা সে বয়সে তাকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কারণে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকতে হচ্ছে। শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে এবং শিশু অধিকার সংরক্ষণে সরকার ১৯৯৪ সালে জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়ন করেছে। শিশুশ্রম বন্ধে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সকল স্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্বমানবতা আজ সোচ্চার। মানবতার বিকাশে এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে শিশুশ্রম রোধ করা আবশ্যক ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।