আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি পত্র দেখব – বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে একখানা পত্র লেখ। এই পত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্র। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই পত্রটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো পত্র নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে একখানা পত্র লেখ
১৫ মে, ২০১৮
পটিয়া, চট্টগ্রাম
প্রিয় সজীব,
অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইল। আজকের চিঠিতে তোমার কাছে একটি আনন্দঘন চমৎকার বিষয়ের অবতারণা করবো। গতকাল ছিল আমাদের বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। দিনটির আনন্দ-উদ্বেল স্মৃতি আমার দীর্ঘদিন মনে থাকবে। পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে আমাদের বিদ্যালয়-ভবনটি সম্পূর্ণ নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছিল। সারা অঙ্গজুড়ে রঙিন কাগজের ঝালর আর রং-বেরংয়ের ফুলের সমারোহ। বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছিল বিশাল এক তোরণ। তোরণটি আমরাই নির্মাণ করেছিলাম- দেবদারু পাতা আর কলাগাছ দিয়ে। সকাল দশটায় প্রধান অতিথির শুভাগমনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। আমরা প্রধান অতিথিকে সারিবদ্ধভাবে অভ্যর্থনা জানিয়ে অনুষ্ঠান কক্ষে নিয়ে যাই। প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব মাহমুদুর হাসান। অতঃপর আমাদের প্রধান শিক্ষক মহোদয় প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে মঞ্চে অভ্যর্থনা জানান। সকলকে মাল্যভূষিত করা হয়। এরপর কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথমে প্রধান শিক্ষক মহোদয় স্বাগত ভাষণ রাখেন এবং বিদ্যালয়ের বার্ষিক বিবরণী পাঠ করেন। অন্যান্য অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের শেষে সুন্দর উপদেশমূলক বক্তব্য রাখেন সম্মানিত প্রধান অতিথি। বক্তব্যপর্ব শেষ হলে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া প্রভৃতি বিষয়ে পুরস্কার-প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধান অতিথির কাছ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে তাদের নিজ নিজ পুরস্কার গ্রহণ করে। তুমি জেনে খুশি হবে তীয় আমিও দুটি বিষয়ে পুরস্কার লাভ করেছি। একটি ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করার জন্যে এবং অন্যটি রচনা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার জন্য। পুরস্কার বিতরণ শেষে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এ অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। সবশেষে মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথের ‘খ্যাতির বিড়ম্বনা’ নামক একাঙ্কিকা নাটক। নাচ, গান ও নাটকে অংশগ্রহণকারীদেরকেও শুভেচ্ছা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে তোমাকে আমন্ত্রণ করতে পারিনি বলে খুবই মর্মাহত। তুমি উপস্থিত থাকলে অনুষ্ঠানটি আমার কাছে আরো উপভোগ্য হতো। ভালো থেকো। তোমার শুভ কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
ইতি
তোমার বন্ধু
সোহাগ
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।