নির্মিতিবাংলাভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণঃ জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান

জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ৷ এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান

মূলভাব : জ্ঞানশক্তি মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি ও সম্পদ। জ্ঞানহীনতা মানুষের জীবনে এক মহা অভিশাপ, যা তাকে পশুস্তরে নামিয়ে দেয় ।

সম্প্রসারিত ভাব : বিশ্বের বুকে অগণিত প্রাণী রয়েছে। প্রাণিকুলে মানুষ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ। সকল প্রাণীর ওপর রয়েছে একমাত্র মানুষের প্রভুত্ব। মানবশ্রেষ্ঠত্বের মূল কারণ হচ্ছে তার জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্যের অনন্যতা। তাই বলে মানুষ মাত্রেই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হবে এমন কোনো কথা নেই। জ্ঞানবুদ্ধি না থাকলে কেউ নামেই কেবল মানুষ থাকে। বস্তুত জ্ঞানবলে বলীয়ান হয়ে মানুষ আজ সবার পেরে স্থান করে নিয়েছে। জ্ঞান হলো মানবজীবনের এমন এক সম্পদ, যার কোনো তুলনা বা মূল্য হয় না। জ্ঞানহীন মানুষ দুর্বল এবং পশুর সমান। আপরদিকে জ্ঞানী ব্যক্তিগণ সমাজের সম্পদ। জ্ঞানের কল্যাণে তাঁরা বহুগুণে গুণান্বিত হয়ে নেতৃত্বের আসন গ্রহণ করেন। সমাজের অন্যান্য সভ্যদের মধ্যে জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের মর্যাদা অনেক বেশি। কারণ তাঁরা সচেতন জনগোষ্ঠী, তাঁদের দ্বারা সমাজ উপকৃত হয় । জ্ঞানী ব্যক্তি সবকিছু বিবেচনা করে চলতে পারেন। কিন্তু একজন নির্বোধ লোকের হিতাহিত জ্ঞান নেই। এমনকি সে তার নিজের মান-সম্মান ও দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে পর্যন্ত সচেতন নয়। ভালো-মন্দ সন্বন্ধে জ্ঞানশূন্য সে। সমাজের কল্যাণকর কোনো কিছু তার কাছ থেকে আশা করা যায় না। পশুর জীবন যেমন কেবল জৈবিক চাহিদার মধ্যে সীমাবদ্ধ তেমনি জ্ঞানহীন মানুষও জীবনকে স্থূল চাহিদার মধ্যে আড়ষ্ট করে রাখে। পশুর কাছে যেমন বিবেক, নৈতিকতা, সর্বোপরি যুক্তিবাদিতা আশা করা যায় না, তেমনি মূর্খ ও জানানন্ধ মানুষের কাছ থেকে কল্যাণকর কিছু আশা করা যায় না। নির্বোধের দ্বারা গোটা সমাজ হয় ক্ষতিগ্রস্ত। আসলে জ্ঞানের মালোকে মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জন করে অতিক্রম করতে হয় পশুর স্তর। জ্ঞানার্জন ছাড়া মানুষে পশুতে সত্যিকার কোনো পার্থক্যই থাকে না। জ্ঞানই মানুষ এবং পশুর মধ্যে সীমারেখা টেনে দিয়েছে। তাই জ্ঞানহীন মানুষকে পশুর সমতুল্য গণ্য করা হয় ৷

মন্তব্য : জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের ভেতরে একটা সচেতন উপলব্ধির সৃষ্টি হয়। এ উপলব্ধিই হলো বিবেক। বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুত্বকে অতিক্রম করতে সক্ষম।

আরও পড়ুনঃ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

ভাবসম্প্রসারণঃ নদীর এ পার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস, নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে

Swopnil

অনুচ্ছেদঃ অতিথি পাখি

Swopnil

আবেদন পত্রঃ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার চেয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পত্র লেখ

Swopnil