বাংলাচিঠিনির্মিতি

পত্রঃ স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি পত্র দেখব – স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ। এই পত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্র। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই পত্রটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো পত্র নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

২৭ মার্চ, ২০১৮

রতনপুর, মুন্সীগঞ্জ

প্রিয় আরিফ,

আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। তোমার প্রেরিত চিঠিতে তোমাদের কুশলাদি সম্পর্কে অবগত হলাম। আল্লাহর রহমতে আমরাও সকলে ভালো আছি।

গতকাল ছিল মহান স্বাধীনতা দিবস। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের এক মহান অর্জন আমাদের স্বাধীনতা। বীরের রক্তস্রোত আর মাতার অশ্রুধারায় প্রতি বছরই ফিরে ফিরে আসে এ দিন। স্বাধীনতা দিবস একটি জাতির সবচেয়ে আনন্দের দিন। স্বাধীনতা দিবস একটি জাতির আত্মোপলব্ধির দিন। ছাব্বিশে মার্চ খুব সকালে আমরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছি। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, বক্তৃতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।। অতঃপর আমাদের স্কাউট দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা এ উপস্থিত হই। আমাদের প্রধান শিক্ষক মহোদয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আমরা সমস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করি।। কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করে। কুচকাওয়াজ শেষে আমরা হলরুমে সমবেত হই। মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক দেশাত্মবোধক গান এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি নাটিকা করেছিল। অংশগ্রহণ করেছিল আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। এ অনুষ্ঠানে অভিভাবকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতা পর্ব শেষ হলে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত ছিল কবিতা আবৃত্তি, কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘যখন আমি বুকের পাঁজর খুলে দাঁড়াই’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলাম। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি বনাম অন্যান্য শ্রেণির একাদশের মধ্যে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ১-০ গোলে জয়লাভ করে দশম শ্রেণি। তবে পুরো খেলাটিই ছিল বেশ উত্তেজনাকর এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। ওহ বলতে ভুলে গেছি ‘চেতনা-অনিৰ্বাণ’ শীর্ষ একটি দেওয়াল পত্রিকাও আমরা প্রকাশ করেছি। মূলত এ ছিল আমাদের এবারের স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি।

See also  আবেদন পত্রঃ গ্রামে নলকূপ বসানোর আবেদন জানিয়ে চেয়ারম্যানের নিকট দরখাস্ত লেখ

তোমার বিদ্যালয়ে তোমরা কীভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করলে লিখে জানাবে। তোমার পত্রের অপেক্ষায় রইলাম। তোমার মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি।

ইতি

প্রীতিমুগ্ধ

পরাগ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

রচনাঃ ইন্টারনেট

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ  অর্থই অনর্থের মূল

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে

Swopnil

Leave a Comment