আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – অতিথি পাখি। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
অতিথি পাখি
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে প্রতিবছর অসংখ্য অতিথি পাখি (Migrated Bird) আসে। আমাদের এ অতিথিরা সাধারণত শীতকালে আসে। সাইবেরিয়ায় ঠাণ্ডা কমলে তারা আবার উড়াল দেয় সেখানে। এ দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখিদের অবদান অনেক। অতিথি পাখিরা ঐ সময়ে আমাদের দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ঠিক একই সময়ে আগমন ঘটে পর্যটকদেরও। ফলে অতিথি পাখি সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু কতিপয় মানুষ নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধন করে। যারা আমাদের জন্য সুন্দর ও শুভবার্তা বয়ে আনে তাদেরকেই আমরা হত্যা করি নিষ্ঠুরভাবে। তখন বাঙালির অতিথিপরায়ণতার বিষয়টি হয়ে ওঠে কুৎসিত। অতিথি পাখিদের আমাদের অতিথির মতোই সাদরে গ্রহণ করা উচিত। তাদের জন্য তৈরি করা উচিত অভয়ারণ্য। এ অতিথি পাখিরা শুধু আমাদের দেশে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেই আসে না, তারা নিয়ে আসে সাম্য, মৈত্রীর বার্তাও। যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সীমানার গণ্ডিমুক্ত অবাধ বিচরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এরা রেখে যায় । বিশ্বায়নের যুগে এ বার্তাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সকল ভেদাভেদ ভুলে বিশ্বমানবের ঐক্যের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করে এ অতিথি পাখিরা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদেরকে অতিথি পাখি সংরক্ষণে বিশেষ সচেতন হতে হবে। দমন করতে হবে অতিথি পাখি শিকারিদের। সরকারের উচিত পাখি নিধন রোধকল্পে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ৷
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।