অনুচ্ছেদনির্মিতিবাংলা

অনুচ্ছেদঃ মহান স্বাধীনতা দিবস

মহান স্বাধীনতা দিবস

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব – মহান স্বাধীনতা দিবস। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

মহান স্বাধীনতা দিবস

২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এটি একটি তাৎপর্যবহ দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবার আবেগঘন একদিন এটি। প্রায় দু-শ বছরের ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্তিলাভের পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়। কিন্তু বাংলার মানুষ প্রকারান্তরে দ্বিতীয়বার পরাধীনতার শিকার হয়। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শুরু থেকেই বৈষম্যমূলক আচরণ প্রদর্শন করতে থাকে বাংলার মানুষের সাথে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের প্রতিবাদ আত্মদানের প্রেরণা লাভ করে। এরপর নানা বিষয়ে প্রতিবাদ ও আন্দোলনের একক নেতৃত্বে বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলার মানুষকে স্বাধীনতার জন্যে উজ্জীবিত করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে বিজয়ী হয়। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু এক বিশাল সমাবেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে দিক নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে এদেশে সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে থাকে সরকার। অবশেষে ২৫ মার্চ মধ্য রাতে নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয় হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি লিখিতভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। সে জন্যই ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

রচনাঃ শৈশব স্মৃতি

Swopnil

রচনাঃ পাট

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী

Swopnil