আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – যৌতুক। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
যৌতুক
যৌতুক বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মারাত্মক সামাজিক সমস্যা। এটিকে সামাজিক ব্যাধিও বলা যায়। যৌতুকের অভিশাপে অগণিত নারীর জীবনে নেমে এসেছে অসহনীয় নির্যাতন ও দুর্ভোগ। যৌতুক প্রথার উদ্ভব হিন্দু সমাজে। হিন্দুসমাজে প্রথা অনুযায়ী মেয়েরা পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতো না। তাই পিতৃপক্ষ বিয়ের সময় কন্যাকে যতদূর সম্ভব নগদ অর্থ ও মূল্যবান উপঢৌকন দিত। বরপক্ষ পরবর্তীতে এটাকে অধিকার হিসেবেই নেয় এবং বিয়ের আগেই দরকষাকষির মাধ্যমে প্রাপ্তির হিসেবটা ঢুকিয়ে নিতে তৎপর হয়। এভাবেই গড়ে ওঠে ঘৃণ্য পণপ্রথা বা যৌতুকপ্রথা। হিন্দুসমাজের কুপ্রথা হলেও এটা মুসলিম সমাজে অবলীলায় প্রবেশ করেছে। অথচ ইসলাম ধর্মে যৌতুক আদান-প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওপরন্তু ইসলামে কন্যাকে উপঢৌকন ও মোহরানা দেওয়ার বিধান রয়েছে। পৃথিবীর অনেক মুসলিম রাষ্ট্রে এটাই নিয়ম। সেসব দেশে বরপক্ষকে কন্যাপক্ষের চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হয়। অথচ আমাদের দেশে হিন্দু সমাজের প্রভাবে যৌতুকপ্রথা সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো গোপনে, কখনো উপহারের অন্তরালে চলে যৌতুকের লেনদেন। শুধু ধর্মে নয়, আইনেও যৌতুক নিষিদ্ধ কিন্তু এ প্রথার অভিশাপ থেকে সমাজের মুক্তি মিলছে না। যৌতুকের অভিশাপে অনেক দরিদ্র পিতা কন্যাদায়গ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। প্রতিশ্রুত যৌতুক দিতে না পারায় কিংবা দাবিকৃত যৌতুক পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অসংখ্য নারীর সংসারজীবন অত্যাচার-নির্যাতনে অসহনীয় হয়ে ওঠে। অনেকের সংসার ভেঙে যায়, কাউকে হত্যা করা হয়, কেউ আবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যৌতুকবিরোধী আইন থাকা সত্ত্বেও তার প্রয়োগ হচ্ছে না। যৌতুক নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর একটি প্রথা। এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, সকলকে যুক্ত হতে হবে সেই আন্দোলনে ৷
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।