বাংলাঅনুচ্ছেদনির্মিতি

অনুচ্ছেদঃ বাংলা নববর্ষ

বাংলা নববর্ষ

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব – বাংলা নববর্ষ। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

বাংলা নববর্ষ

বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক চেতনার স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত একটি অনুষঙ্গ। বাংলা নববর্ষ একান্তই বাঙালির উৎসব, যা উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলার সকল ধর্ম ও জাতিসত্তার মানুষ স্বতন্ত্র আত্মপরিচয়ের সন্ধান করে । বাংলা নববর্ষ বলতে বোঝায় বাংলা বর্ষগণনায় বছরের প্রথম দিন। বৈশাখ মাসের সূচনার দিনটিকে ঘিরেই নববর্ষের যত আয়োজন। বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য হলেও এর প্রচলন হয়েছে অবাঙালি তথা মোগল শাসক আকবরের উদ্যোগে। বাংলাদেশের কৃষি ও ফসলের মৌসুম বিবেচনায় রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে বাংলা সন প্রবর্তনের আদেশ জারি করেন। সম্রাটের নির্দেশে আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী সৌর সন ও হিজরি চান্দ্র সনের সমন্বয়ে এ সন গণনা উদ্ভাবন করেন। ১৫৮৪ সালের ১১ মার্চ এ সন গণনা শুরু হয়। তবে সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের দিন ৫ নভেম্বর, ১৫৫৬ থেকে এ সন গণনা কার্যকর করা হয়। প্রথমে এর নাম ছিলো ‘ফসলি সন’, পরে এর নাম হয় বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন। আজ পর্যন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠী যেখানেই আছে সেখানেই বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা ‘বৈশাখী’ নামে বর্ষবরণ উৎসব পালন করে থাকে। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। যেমন- পুণ্যাহ, হালখাতা, বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা, বলী খেলা, বৈশাখী মেলা, ইত্যাদি। ভূমিব্যবস্থা পরিবর্তনের কারণে ইতোমধ্যে পুণ্যাহ অনুষ্ঠান হারিয়ে গেছে। হালখাতাও আজকাল জৌলুস হারিয়েছে। তবে বৈশাখী মেলা এখন গ্রাম ছাড়িয়ে নাগরিক জীবনকে আলোড়িত করছে । বাংলা নববর্ষ আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের পরিচায়ক। এর জন্যে আমরা গর্ববোধ করি।

See also  প্রতিবেদনঃ তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

রচনাঃ কৃষিকাজে বিজ্ঞান 

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি, সত্য বলে, “আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি”?

Swopnil

রচনাঃ অধ্যবসায়

Swopnil

Leave a Comment