অনুচ্ছেদনির্মিতিবাংলা

অনুচ্ছেদঃ জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকা

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব – জাতীয় পতাকা। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

জাতীয় পতাকা

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের জাতীয় পতাকা রয়েছে। জাতীয় পতাকা জাতির গর্ব ও আত্মপরিচয়ের অনুষঙ্গ। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও রয়েছে একটি জাতীয় পতাকা। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটির আকৃতি, রং ও ব্যবহার ১৯৭২ সালের জাতীয় পতাকা বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বর্তমান পতাকাটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি গৃহীত হয়, যার আয়তাকার মূল জমিন ঘন সবুজ আর মাঝখানে টকটকে রয়েছে লাল বৃত্ত। মূল পতাকার ডিজাইন বা নকশা করেন শিল্পী কামরুল হাসান। বাংলাদেশের পতাকা সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উত্তোলন করা হয়। ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ. স. ম. আব্দুর রব পতাকা উত্তোলন করেন। প্রথম বা মূল পতাকায় লাল বৃত্তের মাঝখানে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র। ১৯৭২ সালে পতাকা থেকে মানচিত্র তুলে দেয়া হয়। ১৯৭১ সালের ২ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু তাঁর বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মাপের অনুপাত হলো। আকৃতির পার্থক্যে পতাকার মাপ হতে পারে যথাক্রমে ৩০৫ সে.মি. x ১৮৩ সে.মি., ১৫২ সে.মি.× ৯১ সে.মি., ৭৬ সে.মি. × ৪৬ সে.মি. × ১৮৩ সে.মি. এবং গাড়িতে ব্যবহারের জন্যে ৩৮ সে.মি. x ও ২৫ সে.মি. × ১৫ সে.মি.। জাতীয় পতাকার সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির প্রতীক এবং লাল রং ২৩ সে.মি.. দেশের জন্যে আত্মদানকারী শহিদদের রক্তের প্রতীক । তাছাড়া লাল বৃত্ত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকও বটে। জাতীয় পতাকা আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক। এর সম্মান রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। এর ব্যবহারবিধির লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ ।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

অনুচ্ছেদঃ  পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য

Swopnil

রচনাঃ চরিত্র গঠন

Swopnil

রচনাঃ শীতের সকাল / শীতকাল

Swopnil