বাংলাঅনুচ্ছেদনির্মিতি

অনুচ্ছেদঃ ইন্টারনেট

ইন্টারনেট

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব – ইন্টারনেট। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

ইন্টারনেট

তথ্য-প্রযুক্তির সর্বাধুনিক আবিষ্কার হিসেবে বর্তমান বিশ্বে ‘ইন্টারনেট’ একটি বহুল আলোচিত নাম। বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেট একটি বিস্ময়কর উদ্ভাবন। ইন্টারনেট মূলত একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্তের কম্পিউটার থেকে অন্য প্রান্তের কম্পিউটারের সাহায্যে একে অপরের সঙ্গে অতিদ্রুত যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ‘ইন্টারনেট’ হলো ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস (International Computer Network Service) । অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বব্যাপী সুবিশাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ককেই ‘ইন্টারনেট’ নামে অভিহিত করা হয়। ইন্টারনেট ধারণাটির উদ্ভব খুব একটা বেশি দিনের নয়। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ‘American Defence Network’ নামে একটি নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তোলে। শুরুতে কেবল চারটি কম্পিউটারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। এ প্রযুক্তিকে আরো জনকল্যাণমুখী করে তোলার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষা, গবেষণা ও তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে তারা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। শিক্ষাজগতে এর নামকরণ করা হয় ‘আর্পানেট’। পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৯৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে। সাধারণ ব্যবহারকারিগণ দু’ভাবে ইন্টারনেটের গ্রাহক হতে পারেন। এক. কম্পিউটার বিশ্বে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন— যা অন-লাইন ইন্টারনেট নামে পরিচিত। দুই. কোনো একটি সার্ভার-কে মাধ্যম হিসেবে রেখে কম্পিউটার বিশ্বে বিচরণ যা অফ-লাইন ইন্টারনেট বা ই-মেইল নামে পরিচিত। তথ্যের দ্রুত আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেট সবার কাছে এত প্রয়োজনীয়। বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভারত প্রভৃতি দেশ তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষা, গবেষণা, বিপণন, বিনোদন, চিকিৎসাসেবা সবকিছুই আজ ইন্টারনেটের সাহায্যে সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির এ বিস্ময়কর অবদানকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নতি করতে হবে— এজন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার ও অনুশীলন বর্তমান সময়ের খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্চিত করার ইতিহাস

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

পত্রঃ কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে একটি পত্র লেখ

Swopnil

অনুচ্ছেদঃ খাদ্যে ভেজাল

Swopnil

রচনাঃ একুশে ফেব্রুয়ারি

Swopnil

Leave a Comment