নির্মিতিবাংলাভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণঃ কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?

কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?

মূলভাব : জীবন চলার দীর্ঘ পথে অনেক বাধা-বিঘ্ন আছে। এ বাধার পথ অতিক্রম করতে হলে প্রয়োজন মানসিক দৃঢ়তা ও উদ্যম ।

সম্প্রসারিত ভাব : পথ মানুষকে নিয়ে যায় তার গন্তব্যের লক্ষ্যে। সুদীর্ঘ পথ দেখে পথিক যদি মনোবল হারিয়ে থমকে দাঁড়ায় তবে তার পক্ষে কখনোই লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হবে না। জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যথার্থ উদ্যমী না হলে কখনোই জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হবে না। তাই সাফল্য অর্জনে যথেষ্ট উদ্যমী হওয়া প্রয়োজন। জীবন চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। গতিশীল জীবনের বাঁকে বাঁকে ওত পেতে থাকে বিস্তর বাধা। সেসব বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে জয় করতে না পারলে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায় না। সাহস, অধ্যবসায়, উদ্যম ও বুদ্ধি প্রয়োগে জীবন-পথের বাধাগুলোকে অতিক্রম করতে হবে। তবেই জীবন সাফল্যের আলোতে ভরে ওঠবে। ব্যক্তিগত জীবনে যে যত বেশি উদ্যমী ও উৎসাহী তার জীবনে সাফল্যের পরিমাণও তত বেশি। জাতীয় জীবনের ক্ষেত্রেও একই প্রকার উদ্যম প্রয়োজন। সংকল্প ও উদ্যম ছাড়া কোনো জাতি কখনো বড় হতে পারে না। কর্মময় জীবনে সকল কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি এক নয়। কোনো কাজকে হয় তো কঠিন ও জটিল মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে উদ্যমহীনতা কাপুরুষতার লক্ষণ। কর্ম ও কর্তব্য যতই বড় ও দুরূহ হোক না কেন তা সাহস ও উদ্যমসহকারে সমাধা করার চেষ্টা করলে তাতে সাফল্য আসবেই । কিন্তু নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকলে সহজ কাজেও সাফল্য লাভ করা যাবে না। পথের দীর্ঘতা দেখে পথিক যদি ভগ্ন মনোরথ হয়ে বসে পড়ে তবে তার পক্ষে গন্তব্যে পৌছা কখনোই সম্ভব হবে না। পক্ষান্তরে, মনোবলসহকারে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলে গন্তব্য ক্রমান্বয়ে নিকটবর্তী হতে থাকবে। এক সময় সে পৌঁছে যাবে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। তাই পথের শুরুতেই পথের দীর্ঘতা দেখে নিরুৎসাহিত হওয়া অনুচিত।

মন্তব্য : জীবনের বিপুল চাওয়া-পাওয়া ও সাফল্যের জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম, সাধনা ও উদ্যম। জীবনের উদ্দীষ্ট পথ যতই প্রতিকূল, কণ্টকাকীর্ণ ও দুর্গম হোক না কেন উদ্যমসহকারে পথ চললে গন্তব্যের লক্ষ্য একদিন অর্জিত হবেই।

আরও পড়ুনঃ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

প্রতিবেদনঃ পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য চাই বৃক্ষরোপণ’ -এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা কর

Swopnil

পত্রঃ বনভোজনে যাবার আমন্ত্রণ জানিয়ে বন্ধুকে একখানা পত্র লেখ

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে, ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে

Swopnil