চিঠিনির্মিতিবাংলা

পত্রঃ  বিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনের মানসিক অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লেখ

বিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনের মানসিক অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লেখ

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি পত্র দেখব –  বিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনের মানসিক অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লেখ। এই পত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্র। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই পত্রটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো পত্র নিয়ে এসেছি ।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

বিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনের মানসিক অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লেখ

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মহিষালোহা, মানিকগঞ্জ

সুপ্রিয় অভিষেক,

প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল । আজ ভীষণ বেদনা ভারাক্রান্ত চিত্তে তোমাকে লিখতে বসেছি। জীবন প্রবহমান এক নদী। সুদীর্ঘ চঞ্চল তার যাত্রাপথ। মাঝে মাঝে রয়েছে কিছু বাঁকচিহ্ন কিছু ভাঙ্গা-গড়ার স্মৃতি। আমার জীবনে আজ যে বাঁকচিহ্নটি অঙ্কিত হলো তা একদিকে যেমন নতুন পথে যাত্রার শুভ-সংকেত অন্যদিকে তেমনি দীর্ঘদিনের এক অভ্যাস ও আনন্দের সূত্রপাত। আজ ছিল আমার স্কুল জীবনের শেষ দিন। জীবনের অস্তিত্বের জানালায় বারবার আজ উঁকি দিয়ে যাচ্ছে স্মৃতি বিজড়িত স্কুল জীবনের সুদীর্ঘ অধ্যায় ৷ মহিষালোহা জব্বারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, আমার অন্ধকার জীবনকে আলোকিত করার এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা জীবনের মাধ্যমিক স্তরের এ অধ্যায়টুকুতে আমি নিজেকে নতুনভাবে উপলব্ধি ও অর্জনে ভরে তুলতে সক্ষম হয়েছি। জ্ঞানার্জনের এক গতিশীল আবেগের স্পন্দন আমি এখান থেকেই অনুভব করতে শুরু করেছি। আমার শ্রদ্ধেয় প্রিয় শিক্ষক বাবু সুধীরচন্দ্র রায়, জনাব আব্দুল হামিদ, জনাব আইয়ুব আলী, বাবু দীপেন মজুমদার, জনাব এছাম উদ্দিন, জনাব নাসির উদ্দিন, বাবু হিমাংশু কুমার ভট্টাচার্য, জনাব শহীদুল আলম বাদল, জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান, জনাব আব্দুর রহমান, জনাব আব্দুস সামাদ, জনাব আবতাব উদ্দিন, জনাব আব্দুল হক, জনাব আব্দুল জলিল, জনাব মফিজ উল্লাহসহ আরো অনেকেই আমার জীবনকে আলোকিত করেছেন তাঁদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞানালোকে। সে শিক্ষাঙ্গনটিতে এতদিন আমার উপস্থিতি ছিল প্রাত্যহিক— আজ থেকে বইপত্র হাতে সেখানে আর নিয়মিত গমন ছাত্র-ছাত্রীদের মুখর চঞ্চলতা আজ থেকে আর অবলোকন করবো না। প্রিয় বিদ্যাপীঠের সবুজ চত্বরে আর নিয়মিত গমন করবো না। করবো না। জ্ঞানের জ্যোতির্ময় আধার শ্রদ্ধাস্পদ শিক্ষকগণের সাহচার্য ও স্নেহে আর প্রতিদিন অভিষিক্ত হবো না। অনুজ স্নেহভাজন বিদ্যাভাসের এ সন্ধিক্ষণ আমাকে আজ বেদনায় অশান্ত করে তুলছে। মনের কোণে বেদনার এ সঞ্চয়কে তোমার সঙ্গে ভাগাভাগি করেনিতে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছিল । হয়তো ইতোমধ্যে তোমার ক্ষেত্রেও স্কুল জীবনের ছুটির ঘণ্টা বেজে ওঠেছে।

সকলের স্মৃতিতে বেদনা ও গৌরবে আজীবন উজ্জ্বল হয়ে থাক স্কুল জীবনের শেষ দিনটি।তোমার সুন্দর জীবনের জন্য শুভ প্রত্যাশা রেখে শেষ করছি।

ইতি

তোমার প্রীতিধন্য

শীর্ষ

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

সারমর্মঃ কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?

Swopnil

প্রতিবেদনঃ পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য চাই বৃক্ষরোপণ’ -এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা কর

Swopnil