চিঠিনির্মিতিবাংলা

পত্রঃ কোনো একটি ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

কোনো একটি ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি পত্র দেখব – কোনো একটি ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ। এই পত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্র। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই পত্রটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো পত্র নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

কোনো একটি ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ

ঢাকা ৫ জানুয়ারি, ২০১৮

‘কাশবন’, গুলশান-১,

প্ৰিয় দীপান্বিতা,

একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আমার জীবনের অসাধারণ অভিজ্ঞতা-রঙিন একটি স্মরণীয় দিনের কথা তোমাকে আজ জানাবো । দিনটির স্মৃতি আমি কখনোই ভুলতে পারব না।

গতকাল আমরা সপরিবারে গিয়েছিলাম ইতিহাস প্রসিদ্ধ ‘সোনারগাঁ’। বাংলার বারো-ভূঁইয়া স্বনামধন্য স্বাধীনচেতা বীর ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁ। ছায়ানির্জন অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ, থমকে থাকা বিমুগ্ধ স্থাপত্যকীর্তি— নিজ চোখে না দেখলে বর্ণনা করে বোঝানো অসাধ্য ।

ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে সকাল দশটায় সোনারগাঁয়ে পৌছলাম। পথের পাশে বিশাল আকৃতির ভগ্নপ্রায় দ্বিতল ইমারত। সামনে স্ফটিক স্বচ্ছ বিশাল পুকুর। পুকুরের চারদিকে সারি সারি সবুজ বৃক্ষ। শানবাঁধানো ঘাটে ঘোড়ার পিঠে বীরযোদ্ধার পাথরে খোদাই গর্বিত প্রতিমূর্তি— বাংলার অবলুপ্ত শৌর্য-বীর্যের স্মৃতিরঞ্জিত প্রতীকী ভাস্কর্য। আর একটু এগিয়েই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন স্থাপিত বাংলার লোকশিল্প-কারুশিল্প জাদুঘর। এখান থেকেই শুরু ঈশা খাঁর রাজধানীর মূল ভবন। রাস্তার দু’পাশে অনেকগুলো অট্টালিকা । প্রাচীন স্থাপত্য-নিদর্শনে অপূর্ব।

ঈশা খাঁর আমলে সোনারগাঁ ছিল জলবেষ্টিত স্থান। বর্তমান মূল শহরের পশ্চাৎ দিকের ক্ষীণকায়া একটি স্রোতধারা তারই সাক্ষ্য বহন করছে। শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে স্থানটির উপযুক্ততা বিচার করে ঈশা খাঁ সোনার গাঁকে বেছে নিয়েছিলেন রাজধানী হিসেবে। এর ক্ষয়িষ্ণু পলেস্তারা, বিবর্ণ দালান-কোঠা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। আমার মানসপটে সোনারগাঁ স্মৃতিময় অমলিন এক অভিজ্ঞতা। সময় করে তুমিও দেখে এসো উত্থান-পতনের ধারা বেয়ে অতীতের সাক্ষ্য বহনকারী ঐতিহাসিক সোনারগাঁ। ঘুরে এসে তোমার অভিজ্ঞতা লিখে জানিও। অফুরন্ত শুভ কামনায় আজ এখানেই শেষ করছি।

ইতি

তোমার বান্ধবী

অর্পিতা

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

রচনাঃ বিজ্ঞানের অবদান

Swopnil

রচনাঃ পহেলা বৈশাখ

Swopnil

পত্রঃ পরীক্ষা কেমন হয়েছে তা জানিয়ে পিতার নিকট পত্র লেখ

Swopnil