আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – পানি দূষণ। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
পানি দূষণ
পানি একটি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। পানির অপর নাম জীবন। বিশুদ্ধ-পানি জীবনের জন্য নিরাপদ। আর দূষিত পানি জীবনের জন্য ক্ষতিকর। জীবনধারণের জন্য বায়ুর পরই পানির স্থান। কিন্তু পানি দূষণ আধুনিক সভ্যতার এক নির্মম অভিশাপ ৷ নানাভাবে পানি দূষিত হয়। বন্যা, বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদির ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে পানি দূষিত হয়। বন্যা জলোচ্ছ্বাসের ফলে পানির সঙ্গে নানা ধরনের দূষিত পদার্থ মিশে যায়। প্রাকৃতিক দূষণের বাইরে মানুষের কারণেই পানি দূষিত হয় বেশি। কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ, গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা, রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রভৃতি পানির সঙ্গে মিশে পানি দূষিত করে। পানি দূষণের ফলে প্রাকৃতিক। পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দেয়। পানি দূষণের কারণে জলজ উদ্ভিদ এবং জলজ প্রাণী দারুণ ক্ষতি হয়। পানি দূষিত হলে পানির অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে অনেক মাছ ও জলজ প্রাণী মরে যায়। উন্নত দেশসমূহে পানি দূষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আছে। জলজ যানবাহন ও কলকারখানা থেকে যেন পানি দুষিত না হয় তার ব্যবস্থা জলযান মালিক ও মিল-কারখানার মালিককেই সচেষ্ট হতে হবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।