আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – বাংলাদেশের কৃষক। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের কৃষক
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের প্রায় ৫০ ভাগ লোক কৃষক। প্রাচীনকালে অবশ্য শতকরা ৮৫ ভাগ লোক কৃষক ছিল। তখন কৃষকের অবস্থাও ভালো ছিল। কেননা, কৃষকের তুলনায় জমি ছিল অনেক বেশি। উর্বরা জমিতে প্রচুর ফসল ফলাত। তখন • বাংলাদেশের কৃষকের গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ ছিল। সময়ের পরিক্রমায় এখন বাংলাদেশের কৃষকের সে অবস্থা নেই । একদিকে জমির পরিমান কমেছে অন্যদিকে তারা কৃষি উপকরণ ঠিকভাবে পায় না। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক সময় তাদের সোনার ফসল বিনষ্ট করে। এছাড়াও স্বাভাবিক জীবন-যাপনের সুযোগ কিংবা সহযোগিতা থেকে তারা বঞ্চিত । ফলে অসহায় বাংলার কৃষক আজো শিক্ষাহীন, বস্ত্রহীন, চিকিৎসাহীন জীবন-যাপন করছে। অথচ কৃষকই আমাদের জাতীয় উন্নয়নের চাবি-কাঠি । তারাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের আহার জোগায়, তাই আমাদের জাতীয় স্বার্থেই কৃষকদের উন্নতি জরুরি। তাদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। স্বল্পমূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে তাদের অর্থনীতি প্রাণ শক্তিতে রূপান্তর করা প্রয়োজন। তারা যেন ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় এ ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে হবে, তবেই বাংলাদেশের কৃষক হবে দারিদ্র মুক্ত। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধি সাধন হবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।