আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি অনুচ্ছেদ দেখব – রিকশাওয়ালা। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
রিকশাওয়ালা
রিকশাওয়ালা আমাদের সমাজের অতি পরিচিত একজন পরিশ্রমী মানুষ। পদচালিত তিন চাকার বিশেষ যানের মাধ্যমে যিনি যাত্রী পরিবহন করেন তিনিই ‘রিকশাওয়ালা’ নামে পরিচিত। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে একজন রিকশাওয়ালা রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেন৷ আমাদের দেশে শহরে-নগরে, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রই রিকশাওয়ালা দেখতে পাওয়া যায়। যাত্রীর খোঁজে রিকশাওয়ালাকে এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। রিকশাওয়ালা কখনো কখনো রাস্তার মোড়ে বা নির্ধারিত জায়গায় দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করেন। কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে রিকশাওয়ালা যা আয় করেন তা থেকে রিকশার মালিককে একটা নির্ধারিত পরিমাণ ভাড়া প্রদান করতে হয়।এটাকে সাধারণত ‘জমা’ বলা হয়। জমার টাকা পরিশোধের পর যে উদ্বৃত্ত থাকে তা দিয়েই তাকে সংসার চালাতে হয়। রিকশাওয়ালা সাধারণত খালি গায়েই রিকশা চালান। কখনো কখনো গেঞ্জি বা জামা পরিধান করেন। রোদ কিংবা বৃষ্টি কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি রিকশা চালাতে দ্বিধা করেন না। বৃষ্টির দিনে যাত্রীদের জামা-কাপড় শুষ্ক রাখতে রাবার-ক্লথ বা প্লাস্টিকের পর্দা ব্যবহার করা হয়। একজন রিকশাওয়ালা দরিদ্র হলেও নিজস্ব রোজগার নিয়ে তিনি খুশি। সমাজের পরিশ্রমী এ রিকশাচালকদের প্রতি আমরা যেন মর্যাদাশীল থাকি ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।