বাংলাঅনুচ্ছেদনির্মিতি

অনুচ্ছেদঃ পরীক্ষার পূর্বরাত্রি

 পরীক্ষার পূর্বরাত্রি

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব –  পরীক্ষার পূর্বরাত্রি। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

 পরীক্ষার পূর্বরাত্রি

পরীক্ষার পূর্বরাত্রি একটি মিশ্র অনুভূতিরঞ্জিত রজনি। বিশেষ করে জেএসসি বা এসএসসি পরীক্ষার আগের রাত যেকোনো পরীক্ষার্থীর জীবনে স্মরণীয় মুহূর্ত। পরীক্ষার্থীর মানসিক শক্তি ও প্রস্তুতির পার্থক্যে এ রাতে মনের অবস্থা নির্ভরশীল। তবে প্রায় সবার ক্ষেত্রেই রাতটি নির্ঘুম ও চিন্তাচ্ছন্নতায় কাটে। চূড়ান্ত ধীর পায়ে এগিয়ে আসে। বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। প্রস্তুতির খেরো খাতা মিলিয়ে দেখতে গেলে সবাই মনে সন্দিগ্ধ ভাব দানা বেঁধে ওঠে। প্রস্তুতি নিশ্ছিদ্র হলেও মনে সংশয়ের কমতি থাকে না। থাকে ভয়ও। এক পর্যায়ে সময়ের চাকা এসে দাঁড়ায় এক রাতের দূরত্ব নিয়ে। রাত পোহালেই পরীক্ষা। সারা বছর, পুরা সেশনের অর্জন আর পরিশ্রমের ফল লাভের জন্যে বসতে হবে পরীক্ষার হলে। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনসহ সকলের প্রত্যাশা আর জীবনের স্থিরকৃত লক্ষ্য অর্জনের জন্যে পরবর্তী শ্রেণিতে পছন্দের বিষয় কিংবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি বড় হয়ে দেখা দেয়। এ বাড়তি চাপ পরীক্ষার আগের রাতটিকে উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠাময় করে তোলে। বড়রা উপদেশ দেন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে সুস্থ দেহ-মনে পরীক্ষার হলে যাবার জন্যে। কিন্তু বিছানায় গিয়েও ঘুম পায় না। মাথার মধ্যে শুধুই ঘুরপাক খায় নানা ভাবনা। কী জানি পড়া হয়নি, কী জানি প্রশ্নপত্রে আসে, কীভাবে পরীক্ষা দেবো-এসব ভাবতে গিয়ে বিছানা ছেড়ে পড়ার টেবিলে গিয়ে বসা-এভাবেই গড়ায় রাত। দু-একজন অবশ্য ব্যতিক্রম আছে বৈকি! তাদের মাথায় কোন দুশ্চিন্তা ঢোকে না। তারা নাক ডেকে ঘুমায় । কারো আবার নেই পাশ-ফেলের বালাই। কেউ কেউ আবার অতি আত্মবিশ্বাসী। তবে সাধারণভাবে পরীক্ষার আগের রাতটি নির্ঘুম, এলোমেলো ভাবনা আর উত্তেজনায় ঠাসা এক দীর্ঘ প্রহর ।

See also  অনুচ্ছেদঃ শিশুশ্রম

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

রচনাঃ সময়ের মূল্য

Swopnil

পত্রঃ তুমি কেন একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী হতে চাও তার কারণ বর্ণনা করে বন্ধুকে চিঠি লেখ

Swopnil

রচনাঃ বাংলাদেশের বর্ষাকাল

Swopnil

Leave a Comment