আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি ভাবসম্প্রসারণ দেখব – কর্তব্যের কাছে ভাই-বন্ধু কেহই নাই। এই ভাবসম্প্রসারণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।
তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এই ভাবসম্প্রসারণটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে এসেছি।
তাহলে চলো, শুরু করা যাক।
কর্তব্যের কাছে ভাই-বন্ধু কেহই নাই
মূলভাব : কর্তব্য পালন একটি মহান দায়িত্ব । কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রয়োজনে নিকটজনের স্বার্থকেও তুচ্ছ জ্ঞান করতে হবে।
সম্প্রসারিত ভাব : কর্তব্য পালনের মধ্য দিয়েই মানব জীবনের মাহাত্ম্য প্রকাশিত হয়। প্রাত্যহিক জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে কর্তব্যের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্য পালনের মধ্যেই জীবনের সফলতা ও সুনাম নির্ভর করে। তাই কর্তব্যের স্থান সকল প্রকার স্বার্থ স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে। সীমিত জীবন-পরিধি নিয়ে পৃথিবীতে মানুষের বসবাস। এ স্বল্পায়ু জীবনে মানুষ নানা কর্তব্যের বন্ধনে আবদ্ধ । জীবন-সীমার গোটা পরিসর জুড়েই চলতে থাকে কর্তব্যের নানা উৎসব। পারিবারিক কর্তব্য, সামাজিক কর্তব্য, পেশাগত কৰ্তব্য, রাষ্ট্রীয় কর্তব্য, ধর্মীয় কর্তব্য প্রভৃতি। এসব কতর্ব্য যথাযথভাবে পালনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত জীবন তথা জাতীয় জীবনের উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধিত হয়। তবে কর্তব্য পালনের পথ সহজ নয়। কর্তব্যের করণীয় পথে নানা রকম বাধা-বিঘ্ন, জটিলতা বিদ্যমান থাকে । অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রবল হয়ে কর্তব্য পালনে বাধার সৃষ্টি করে। আবার অনেক সময় কর্তব্য পালন করতে গিয়ে অন্যের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় তারা অনেক সময় নানা প্রকার জটিলতার সৃষ্টি করে থাকে অনেক ক্ষেত্রে জীবন নাশের হুমকিও প্রদান করে থাকে। তাই বলে কর্তব্য পালন থেকে কখনো দূরে সরে দাড়ানো উচিত নয়। তাতে সামাজিক শান্তি ও শৃঙ্খলতা যেমন বিঘ্নিত হবে তেমনি নিজের চরিত্রের পবিত্রতাও বিনষ্ট হবে। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যদি আত্মীয়-পরিজন, ভাই কিংবা বন্ধুর স্বার্থও বিঘ্নিত হয় তবে সেক্ষেত্রেও কর্তব্য পালনে অনমনীয় থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, ভাই-বন্ধুর স্বার্থের চেয়ে কর্তব্য পালন অনেক বড় ও মহৎকর্ম। যারা ন্যায়বান ও কর্তব্যপরায়ণ তারা কখনোই স্বার্থের কাছে কর্তব্যকে বিসর্জন দেয় না। স্বীয় কর্তব্যকে তারা জীবনের মহান ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে।
মন্তব্য: প্রত্যেক মানুষকে কর্তব্য পালনে ন্যায়নিষ্ঠ হতে হবে এবং ভাই-বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন সকলের অন্যায় স্বার্থকে অন্যায়ই ভাবতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
- ভাবসম্প্রসারণ: আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে
- ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম ও পদ্ধতি
- সারমর্মঃ সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
- সারমর্মঃ আমার একার সুখ সুখ নহে ভাই, সকলের সুখ সখা
- সারমর্মঃ গাহি তাহাদের গান, ধরণীর বুকে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।