বাংলাঅনুচ্ছেদনির্মিতি

অনুচ্ছেদঃ বিদ্যালয়ের শেষ দিন

 বিদ্যালয়ের শেষ দিন

আজকের পোস্টে তোমাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টে আমরা একটি  অনুচ্ছেদ দেখব – বিদ্যালয়ের শেষ দিন। এইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। এটি অনেকবার পরীক্ষায় কমন পড়ে।

তুমি যেই শ্রেণিতেই পড়োনা কেন – এইটি যদি তুমি মুখস্ত রাখো তাহলে তোমার পরীক্ষায় কমন পড়ার চান্স অনেক বেশি। আর এইজন্যই আজকে আমরা একটি খুবই সহজ এবং মুখস্ত করার মতো অনুচ্ছেদ নিয়ে এসেছি।

তাহলে চলো, শুরু করা যাক।

 বিদ্যালয়ের শেষ দিন

বিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । অনেকগুলো বছর অনেকগুলো শ্রেণিস্তর পেরোতে পেরোতে একদিন বিদায় নিতে হয় বিদ্যালয় থেকে। বহু সঞ্চিত স্মৃতি ও প্রীতির বাঁধন ছিঁড়ে, পেছনের আকর্ষণ উপেক্ষা করে, বৃহত্তর জ্ঞান সাধনার পথে একদিন ইতি টানতে হয় বিদ্যালয়-জীবনের। আমার শিক্ষাজীবনে বিদ্যালয়ের শেষ দিনটি বেদনা-বিধুর এক হিরন্ময়ক্ষণ। প্রকৃতির প্রাণবন্ত সজীবতায় চারদিকে মৃদুমন্দ সুবাতাস বইলেও— সমস্ত কিছু ম্লান করে দিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে বিদায়ের করুণ সুর। বারবার মনে পড়ছে স্মৃতি-বিজড়িত অতীত দিনগুলোর কথা। বিদ্যালয় জীবনের সূর্যদীর্ঘ পর্বে সবায় যেন বাঁধা ছিলাম একই বন্ধলেন জানি আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে নতুন ভোর, নতুন আগামী, নতুন জ্ঞানাহরণের অন্য এক শিক্ষাস্তর। তবুও বিচ্ছেদের করুণ ঢেউয়ে বারবার ভেঙ্গে যায় সান্ত্বনার বাঁধা তাঁর। কিছুতেই প্রবোধ মানতে চায় না অবুঝ হৃদয়। স্মৃতির অজস্র সঞ্চয় ভারাক্রান্ত করে তুলছে হৃদয়ের বেলাভূমি। স্যারদের স্নেহমাখা শাসন আর প্রাণঢালা আদর, অনুজ ভাই-বোনদের শ্রদ্ধাসিক্ত ভালোবাসা আমাদের বেঁধে রেখেছিল অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে। আমাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে স্যারদের ভূমিকাকে পরমশ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। তারা আমাদের জীবনকে সর্বোত্তম জ্ঞান দিয়ে গড়ে তুলেছেন। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ আমাদের বন্ধুর মতো সান্নিধ্য দিয়েছেন, দার্শনিকের মতো ন্যায়- অন্যায়ের পার্থক্য নির্দেশ করে আমাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করেছেন। সর্বোপরি পথ-প্রদর্শকের মতো জীবনের সর্বক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথকে সুগম করে দিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় স্যারদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেবল পুঁথিগত বিদ্যা দান ও বিদ্যা গ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ কথা অনস্বীকার্য যে, সভ্যতার শুরু থেকে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে চলছেন শিক্ষাগুরুগণ। তাইতো ধর্ম-বর্ণ শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে শিক্ষাগুরুর সুমহান মর্যাদা স্বীকৃত।শ্রদ্ধেয় স্যারদের প্রাত্যহিক সান্নিধ্য ছেড়ে যেতে আজ খুবই কষ্ট হচ্ছে। এ বিদায়লগ্নে উপলব্ধি করছি যে, জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজন শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ। পাঠাগার, কমনরুম, খেলার মাঠ প্রতিটি প্রান্তেই ছড়িয়ে ও জড়িয়ে আছে অসংখ্য স্মৃতি। পাঠ্যক্রম নির্ভর জ্ঞান-চর্চার পাশাপাশি এই বিদ্যালয় থেকে পেয়েছি সহশিক্ষা কার্যক্রমের নানা পাঠ—–যা আমাদের জীবনকে করেছে আলোকিত ও বিকশিত। বিদ্যালয়ের শেষ দিনে সমস্ত স্মৃতিগুলো আজ অম্লান আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে হৃদয়কে বিষাদে ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তুলছে । বিদায় লগ্নে কামনা করছি এ বিদ্যাপীঠের সমৃদ্ধি ও শ্রীবৃদ্ধি । জ্ঞানের দীপশিখা যেন প্রজ্জ্বলিত থাকে যুগ-যুগান্তর ।

See also  রচনাঃ একুশে ফেব্রুয়ারি

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে যে আবেদন পত্রটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই পত্র নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Related posts

ভাবসম্প্রসারণঃ নহে আশরাফ আছে যার শুধু বংশ পরিচয়, সেই আশরাফ জীবন যাহার পুণ্য কর্মময়

Swopnil

রচনাঃ কম্পিউটার

Swopnil

ভাবসম্প্রসারণঃ ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে, ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে

Swopnil

Leave a Comment